নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত

সীমান্ত পেরিয়ে মহিষ নিয়ে ফিরছিলেন মো. ইব্রাহিম (৪০)। কিন্তু দেশে ফিরতে পারলেন না—ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে প্রাণ হারালেন তিনি।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে। নিহত ইব্রাহিম সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের বাসিন্দা ও সৈয়দ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতের কোনো এক সময় ইব্রাহিম সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভেতরে যান। বৃহস্পতিবার ভোরে একজোড়া মহিষ নিয়ে ফেরার পথে ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ঘটনাটি ২২৮ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে প্রায় ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। পরে বিএসএফ সদস্যরা ইব্রাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। ঘটনাস্থল সীমান্তের ওপারে হওয়ায় বিস্তারিত জানতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।” তিনি আরও জানান, বিএসএফ গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সীমান্তে এই ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিজিবি সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় এখনো ঠিক হয়নি।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীদের মতে, সীমান্তে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ রোধে ভারতকে অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
What's Your Reaction?






