ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

দীর্ঘ ১৬ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পুরো উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে প্রাণচাঞ্চল্য, উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা তাদের পছন্দের কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন।
সম্মেলনে মোট ২৭৮ জন কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করবেন এবং তাঁদের ভোটেই বাছাই হবে উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর উপজেলা বিএনপিতে নতুন নেতৃত্বের সূচনা হবে বলে মনে করছেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—বর্তমান আহ্বায়ক ফরিদ আহম্মেদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ নান্নু পঞ্চায়েত এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মহিউদ্দিন আহম্মেদ। সাধারণ সম্পাদক পদেও তিনজন প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন—সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর কবির মান্নু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সোহেল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তারা হলেন—যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মোস্তান হাফিজ, এইচ. এম ফারুক হোসাইন, চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হাই জমাদ্দার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো: ইব্রাহিম।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহম্মেদ বলেন, “মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সম্মেলনকে সফল করতে আমরা ইতোমধ্যে সব সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।” তিনি আরও জানান, সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর এ ধরনের কোনো সম্মেলন হয়নি।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, “সম্মেলনে কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করবেন। ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে এবং যোগ্য নেতৃত্ব শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নসহ আগামীর বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”
What's Your Reaction?






