সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে মৃত্যুবরণ, তিন মাস পর লাশ এল দেশে

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হতভাগা নুরআলম খান (৩৫) জীবনের তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মাত্র দুই মাসের মাথায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে জীবন দেন তিনি। শনিবার (১৭ মে) ভোর ৫টার দিকে তিন মাস পর তার লাশ দেশে এসে পৌঁছায়।
নুরআলমের ভায়রা-ভাই মো. মাহফুজুর রহমান খান জানান, জীবিকার তাগিদে ২০২৪ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবের রিয়াদে যান নুরআলম। সেখানে কাজ শুরুর মাত্র দুই মাসের মাথায় ২০ জানুয়ারী এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। রিয়াদ ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা জীবন বাঁচাতে তার দুটি পা কেটে ফেলেন। কিন্তু দীর্ঘ ২০ দিনের লড়াই শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান নুরআলম।
নুরআলমের লাশ দেশে ফেরত আনতে প্রায় তিন মাস লেগে যায়। অনেক চেষ্টার পর সরকারের সহযোগিতায় শনিবার (১৭ মে) ভোরে তার লাশ বাড়িতে আসে। সকাল ৯টায় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, নুরআলম তার দুই সন্তান ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে গেছেন। সৌদি যাওয়ার জন্য ধার-দেনা করে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তার বসতভিটা ছাড়া আর কোনো সম্পত্তি নেই। এমন অবস্থায় সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, নুরআলমের লাশ দেশে আনতে সরকার সহায়তা করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নুরআলমের পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদের সহযোগিতা করা হবে।
What's Your Reaction?






