রামগড়ে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা: আটক সাইফুল

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ঘটনার ছয় দিন পর সাইফুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিন ভবঘুরে অবস্থায় অস্বচ্ছল জীবন যাপন করছিল সাইফুল। স্থায়ীভাবে বসবাসের জায়গা ও টাকা চাইলে তার দাদি আমেনা বেগম (৯৫) ও ফুফু রাহেনা আক্তার (৪২) তাকে বকাঝকা ও গালাগাল করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো দা দিয়ে তাদের গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাইফুল। পালানোর সময় ফুফুর মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় সে।
পরবর্তীতে সেই মোবাইল ফোনটি চট্টগ্রামের ভূজপুর থানাধীন দাতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর বাজারের নূরুল আলম নামে এক দোকানির কাছে ৪০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এবং সেখান থেকেই আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
আরেফিন জুয়েল বলেন, শনাক্ত হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালালেও সাইফুল স্থান পরিবর্তন করতে থাকায় তাকে ধরতে বেগ পেতে হয়। সবশেষে বুধবার রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়ার ঘোপাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার সকালে রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাগানটিলা এলাকার নিজ ঘর থেকে আমেনা বেগম ও তার মেয়ে রাহেনা আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা মৃত মীর হোসেনের স্ত্রী ও মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমেনা বেগমের পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। জমিজমা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। নিহত রাহেনা আক্তারের স্বামী প্রবাসী, তিনি মায়ের সঙ্গে বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
What's Your Reaction?






