মাগুরার সকল শহীদের হত্যার বিচার হবে" - নিতাই রায় চৌধুরী

শোক, শ্রদ্ধা আর হত্যার বিচারের দৃঢ় প্রত্যয়ে মাগুরার মহম্মদপুরে পালিত হলো ছাত্রদল নেতা শহীদ আবু তৈয়ব মোল্লার দ্বিতীয় শাহাদাৎ বার্ষিকী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে নিহত এই মেধাবী ছাত্রনেতার স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বক্তারা তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার রাড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ মোসলেম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, "মাগুরা জেলার সকল শহীদের হত্যার বিচার আইনের মাধ্যমেই করা হবে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।" তিনি আবু তৈয়বকে একজন সম্ভাবনাময় তরুণ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তার হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খাঁন রোকনুজ্জামান, মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মৈমুর আলী মৃধা, জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল হাসান লিটন, মনিরুজ্জামান চকলেট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম এবং জেলা জাসাস সদস্য সচিব এম ফেরদৌস রেজা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, "রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই মেধাবী ছাত্রনেতা আবু তৈয়বকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।" তারা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে তার চাচা গোলাম রব্বানী আবেগঘন কণ্ঠে ভাতিজা হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তারার সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শেষে শহীদ আবু তৈয়ব মোল্লাসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?






