বাহারের শূন্যতায় নোয়াখালীর সংবাদপত্র বিপণন ব্যাহত

নোয়াখালী শহরের সৎ, মিষ্টভাষী ও হাস্যজ্জল সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার মিয়া (৪৬) ফুসফুসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এখলাশপুর গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ শেষে বাহারের মরদেহ তার নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।
এর আগে, ২৭ এপ্রিল বাহার মিয়া হঠাৎ প্রচন্ড কাশি নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর ডাক্তারদের পরীক্ষায় তার শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু ধরা পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। তবে, সেখানে অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়ে রোববার বিকালে তিনি মারা যান।
সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার মিয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম এখলাশপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে’সহ অসংখ্য গুণগগাহী রেখে যান। তাঁর জানাজার নামাজে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলা শহরের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা শহরের পরিচিত সংবাদপত্র বিপণনকর্মী বাহার মিয়া রোদ-বৃষ্টি, ঝড় কিংবা শীত—কখনওই ক্লান্ত হননি। তিনি নিয়মিত পত্রিকা পৌঁছে দিতে প্রতিদিন অফিস, সাংবাদিক, প্রেসক্লাব ও রাজনৈতিক কার্যালয়সহ নানা স্থানে যেতেন। ২৭ এপ্রিল তার অসুস্থতা শুরু হলে পত্রিকা বিপণন কর্মসূচী ব্যাহত হতে থাকে এবং গত ১ মে থেকে মাইজদী বাজার মূলধারা এন্টারপ্রাইজও অন্যত্ব বিক্রি করে দেয়, যা স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য বড় একটি ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়।
চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক সুমন ভৌমিক জানান, বাহার মিয়া অত্যন্ত মিষ্টভাষী, হাস্যজ্জল ও নরম-ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক, পত্রিকার গ্রাহকসহ সর্ব মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
What's Your Reaction?






