ফরিদপুরের নগরকান্দার রাজপথ কাঁপিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিশাল বিজয় মিছিল
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে পৃথক কিন্তু শক্তিশালী কর্মসূচির মাধ্যমে ফরিদপুরের নগরকান্দার রাজপথ দখলে রেখেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিনভর দুই দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল ও সমাবেশে পুরো উপজেলা শহরজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ।
সকাল ১০টায় নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক বিশাল গণমিছিল বের হয়। বাজারের শফিউদ্দিন ফিলিং স্টেশন থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা জামায়াতের আমির ও ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মো. সোহরাব হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, "এই অভ্যুত্থান দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"
অন্যদিকে, বিকাল ৩টায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এক বিশাল বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর-২ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি শফিউদ্দিন ফিলিং স্টেশন থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শ্যামা ওবায়েদ বলেন, "জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে ছেড়েছে। এই বিজয় জনতার, এই বিজয় গণতন্ত্রের। কোনো স্বৈরাচার আর এই বাংলার মাটিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।" তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই মিছিলে বিএনপি ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এটি এক বিশাল শোডাউনে পরিণত হয়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া সকালে উপজেলা কৃষক দলও একটি পৃথক বিজয় র্যালী বের করে।
দিনভর বিএনপি ও জামায়াতের এই পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে নগরকান্দায় বিরোধী দলগুলো তাদের संगठিত শক্তির এক জোরালো মহড়া প্রদর্শন করে।
What's Your Reaction?






