নাটোরে ডাকাতির ঘটনায় যৌথ অভিযানে পিরোজপুরে ডাকাত গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সিআইডি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও আল আমিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) গভীর রাতে ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের লক্ষীদিয়া বাড়ৈখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন।
গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম হোসেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার কয়রা গ্রামের বাসিন্দা শরীফুল ইসলামের ছেলে এবং আল আমিন একই গ্রামের বাসিন্দা।
থানা সুত্রে জানা গেছে, নাটোর সদর থানায় দায়েরকৃত একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে যার মামলা নম্বর: ৩; তারিখ: ০৩/০৮/২০২৫; ধারা: ৩৯৫/৩৯৭/৩৪। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে নাটোর থেকে আসা সিআইডি লক্ষীদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে অভিযোগ চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি লক্ষীদিয়া গ্রামে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এসব অপরাধের পেছনে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেফতারকৃতদের আশ্রয়দাতা হিসেবে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক জাহিদুল ইসলাম হাওলাদারের গতিবিধিও স্থানীয়দের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহজনক বলে দাবি করেছেন।
ইন্দুরকানী থানার এসআই আশিক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আল আমিনের কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া পরিবারের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বাড়ির মালিক জাহিদুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন জানান, নাটোরের একটি ডাকাতি মামলার এক আসামি পালিয়ে এসে ইন্দুরকানীতে আশ্রয় নিয়েছিল। নাটোর থেকে সিআইডি এসে আমাদের সহায়তা নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তাকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে নাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নাটোর জেলার সিআইডির ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইব্রাহীম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়েছে।
What's Your Reaction?






