গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথে কাপ্তাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গণতন্ত্র রক্ষা এবং জনগণের অধিকার আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে কাপ্তাই উপজেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে কাপ্তাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে উপজেলা চত্বর থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এসময় হাজারো নেতাকর্মীর স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
পরে মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাপ্তাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপন তালুকদার বলেন, "বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালের এই দিনে দেশ ও জনগণের সেবার ব্রত নিয়ে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে এই সংগঠন জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।"
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী বাবর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. আবু নাছির এবং কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল দেশের সর্বস্তরের জনগণের পাশে থেকে সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করে চলেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. রহমত উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক দিলদার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন সাকু, যুগ্ম আহ্বায়ক আরজ হোসেন সুমন, কাপ্তাই উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. ইব্রাহিম হাবিব মিলু, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মারমা, কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সেকান্দর আলী রাসেল, সদস্য সচিব মো. ইব্রাহিমসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
What's Your Reaction?






