ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ১২ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী সরকারের ইপিআই (EPI) কর্মসূচীর আওতায় শুরু হবে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান ও ডাঃ সুবল চন্দ্র সাহা। এছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিকও বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া জানান, দেশে প্রথমবারের মতো ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫৭ জন শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এবং ১২ অক্টোবর থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পুরো ক্যাম্পেইন চলবে ১৮ দিন; প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ে এবং পরের ৮ দিন কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।
ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, “রেজিস্ট্রেশন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও আহবান জানাই, তারা এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখুন।”
জেলার ৯টি উপজেলা ও ১টি পৌরসভায় মোট ৫৩৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩ জন এবং কমিউনিটিতে শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ১২ হাজার ৫২৪ জন। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ১১টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ২৩৭৬টি। টিকাদানকারীর সংখ্যা ৬৪০ জন, স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ২৩৭৬ জন এবং প্রথম শ্রেণির সুপারভাইজারের সংখ্যা ২৯৭ জন।
তিনি আরও বলেন, “টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এদের অধিকাংশ দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাসকারি। তাই শিশুদের টিকা প্রদান করা জরুরি।”
সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল ও আন্তরিক। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এখানে সাংবাদিকরা ব্যতিক্রম। আপনারা টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনকে সবার মাঝে প্রচার করবেন, যাতে প্রতিটি শিশু টিকা গ্রহণ করে সুস্থ থাকে।”
What's Your Reaction?






