মুক্তিযোদ্ধা আহ্বায়ককে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নবগঠিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ককে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আঃ মান্নান।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নবগঠিত আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশাররফ হোসেন অতীতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দোসর জাতীয় পার্টি (জেপি)-র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমনকি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।
আঃ মান্নান অভিযোগ করেন, আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন দুর্নীতিবাজ। তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দোকান ভাড়া ও অগ্রিম জামানত বাবদ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ঘর (বীর নিবাস) দেওয়ার কথা বলে একাধিক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এ কমিটি মানেন না। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি নতুন কমিটি গঠন করতে হবে, অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধারা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
উল্লেখ্য, ইন্দুরকানী উপজেলায় মোট ১১৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বর্তমানে জীবিত আছেন ৬১ জন। সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান কমিটির দুই জনসহ ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশাররফ হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আঃ মান্নান ও আমি দুটি পৃথক কমিটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে জমা দিই। পরে দুটি মিলিয়ে একটি কমিটি করা হয়। সেখানে আমাকে আহ্বায়ক এবং তাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। তার কমিটি গৃহীত না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালে উপজেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সদস্য সচিব হিসেবে সমাজসেবা কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। তখন দোকান ভাড়া ও অগ্রিম জামানতের দায়িত্ব ছিল তাদের ওপর। তাই দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
What's Your Reaction?






