নোয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “টিম অব ভলেন্টিয়ারের” ২য় বর্ষ উৎযাপন

নোয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “টিম অব ভলেন্টিয়ার ২য় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত " সাফল্যের ২য় বর্ষপূতি অনুষ্ঠান ২০২৫" আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মাইজদী কনভেনশন হলে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন টিম অব ভলেন্টিয়ার।
এতে রনি শীল রুপক বর্না দাশ রমার যৌথ সঞ্চালনায়, টিব অব ভলেন্টিয়ারের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ সৈয়দ আজিম সভাপতিত্বে - প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ ফজলে এলাহী খাঁন ( সহযোগী অধ্যাপক, কিডনি বিভাগ, সংযুক্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা)
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন - প্রফেসর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অধ্যক্ষ,( নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, নোয়াখালী),তাকদির হোসেন মোহাম্মদ সাদরিল ওয়ালা( অধ্যক্ষ মাইজদী পাবলিক কলেজ),মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন( প্রধান শিক্ষক, পৌর কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়),মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (প্রধান শিক্ষক, হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়), ভূপাল চন্দ্র দেবনাথ প্রধান শিক্ষক, অরুন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় টিম অব ভলেন্টিয়ারের প্রতিষ্ঠান দুর্জয় ভৌমিক সহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. ফজলে এলাহী খান বলেন“স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে একটি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। টিম অব ভলেন্টিয়ারের তরুণ সদস্যরা যেভাবে মানবতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি আশা করি, এই তরুণদের উদ্যম ভবিষ্যতে নোয়াখালী ও পুরো দেশের সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” “আজকের প্রজন্ম শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজ ও দেশের জন্যও দায়িত্বশীল হতে শিখছে- টিম অব ভলেন্টিয়ার তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
সংগঠন টির উপদেষ্টা ও অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. সৈয়দ আজিম বলেন- “দুই বছরের যাত্রায় টিম অব ভলেন্টিয়ার প্রমাণ করেছে- ইচ্ছা থাকলে সামান্য প্রচেষ্টায়ও অনেক বড় পরিবর্তন সম্ভব। এই সংগঠনের তরুণরা নিরলসভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগকালীন সহায়তা, রক্তদান, এবং সমাজ সচেতনতা কার্যক্রমে কাজ করে যাচ্ছে। “তরুণদের এই সাফল্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আগামী দিনে এ সংগঠন যেন আরও বৃহৎ পরিসরে মানবতার সেবা চালিয়ে যেতে পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
টিম অব ভলেন্টিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা দুর্জয় ভৌমিক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন- “টিম অব ভলেন্টিয়ার শুরু হয়েছিল কিছু তরুণের ছোট্ট স্বপ্ন থেকে। আমরা বিশ্বাস করি- সমাজে পরিবর্তন আনতে বড় কিছু নয়, দরকার আন্তরিকতা ও মানবিকতা। দুই বছরের এই পথচলায় আমরা বহু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, মানুষকে ভালোবাসা শিখেছি, কষ্টে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখেছি। আমাদের এই যাত্রা থেমে থাকবে না। যতদিন মানবতার প্রয়োজন থাকবে, টিম অব ভলেন্টিয়ার ততদিন মানুষের পাশে থাকবে।”
অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল টিম অব ভলেন্টিয়ারের জন্য প্রেরণাময় ও স্মরণীয়। সাংগঠনিক অর্জন, স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মাননা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, কুইজ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একতা-সব মিলিয়ে একটি দুর্দান্ত উদযাপন। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সংগঠনের কর্মতৎপরতার ভিডিও প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।প্রতিটি পর্বে ছিল হাস্য-উল্লাস, কৃতজ্ঞতা ও প্রেরণা।পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ‘একতা, মানবতা ও ভালোবাসা’- এই মূলমন্ত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
উল্লেখ্য- টিম অব ভলেন্টিয়ার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নোয়াখালীতে মানবিক উদ্যোগ, রক্তদান কর্মসূচি, দরিদ্র পরিবারের সহায়তা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের কাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তাদের এই উদ্যোগ স্থানীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে এবং তরুণ সমাজে অনুপ্রেরণা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে একই সাথে ভিন্ন ধর্নীয় একটি বার্তা " নোয়াখালী বিভাগ চাই" জনকণ্ঠ সকলে এক সাথে ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশ করেন উপস্থিত অতিথি ও সংগঠনের সদস্যরা।
What's Your Reaction?






