জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ অবজ্ঞা করে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে ক্ষোভ

পিরোজপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশ ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। সমাবেশের মঞ্চ করা হয় ‘২৪ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’কে পেছনে রেখে। পাশাপাশি নিকটস্থ শহীদ মিনারের সঙ্গে দলীয় ব্যানার টানানো হয় এবং অনেকেই শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে পড়েন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা ও আন্দোলনকারীরা।
পিরোজপুরের জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির কর্মী আফরোজা তুলি বলেন, “বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। অথচ আজ অনেকে সেই আন্দোলনকে অস্বীকার করছে। আমরা বেঁচে থাকতে জুলাইয়ের প্রতি কোনো অবমাননা সহ্য করব না। স্মৃতিস্তম্ভকে পেছনে রেখে সমাবেশ করা আসলে জুলাই আন্দোলনের প্রতি অবজ্ঞা।”
জুলাই যোদ্ধা সংসদের সাবেক আহ্বায়ক কাজী আবু হানিফ জানান, “আমি ওই সময় উপস্থিত ছিলাম। তখন খেয়াল করতে পারিনি। পরে জানতে পেরেছি তারা স্মৃতিস্তম্ভকে পেছনে রেখে মঞ্চ করেছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে সজাগ থাকা, যাতে জুলাই স্মৃতির প্রতি কেউ অসম্মান না করে।”
অন্যদিকে জুলাই যোদ্ধা তাহমীদ আল নাসীব বলেন, “জুলাই স্মৃতিস্তম্ভকে উপেক্ষা করে কোনো দলের সমাবেশ করা কাম্য নয়। যারা করেছে তাদের কাছে প্রশ্ন—এটি কতটা যৌক্তিক? ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।”
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিরোজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা যখন অনুমতি নিয়েছিলাম তখন ওখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ ছিল না। পরে সেটি স্থাপন করা হয়েছে। তবে জুলাই আন্দোলনের প্রতি আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। শহীদ মিনারের সঙ্গে কে ব্যানার টেনেছে, তা আমাদের জানা নেই। আমার চোখে পড়লে অবশ্যই তা সরিয়ে নিতাম।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। জুলাই যোদ্ধারা দাবি করেছেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের স্মৃতি চিহ্নকে ঘিরে ভবিষ্যতে যেন কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ বা কর্মকাণ্ডে অবমাননার ছাপ না পড়ে, সে বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো জরুরি।
What's Your Reaction?






