ঢাকের বাদ্যি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত মাগুরার পূজামণ্ডপ

মহালয়ার পুণ্য তিথিতে দেবীর আবাহনের পর উৎসবের রঙে সেজে উঠেছে মাগুরা। শারদীয় দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে, মহাসপ্তমীর পুণ্যলগ্নে জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপ পরিণত হয়েছে ভক্তদের মিলনমেলায়। ঢাক, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ, বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে ধূপ-ধুনোর গন্ধ আর উৎসবের আমেজ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই জেলার ৬২১টি মণ্ডপে শুরু হয় মহাসপ্তমীর পূজা-অর্চনা। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভের মাধ্যমে দেবীকে আবাহনের পর আজ দেবীর প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মহাসপ্তমীর মূল আকর্ষণ হলো 'নবপত্রিকা' স্থাপন, যা সাধারণভাবে 'কলাবউ স্নান' নামে পরিচিত। কলাগাছসহ নয়টি ভিন্ন গাছের পাতা একত্রে বেঁধে তৈরি হয় এই নবপত্রিকা, যা দেবী দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক।
ভোরে এই নবপত্রিকাকে নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ে স্নান করিয়ে নতুন শাড়িতে সজ্জিত করে শোভাযাত্রার মাধ্যমে মণ্ডপে ফিরিয়ে আনা হয় এবং দেবীর পাশে স্থাপন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই আচারের মাধ্যমে দেবীর শক্তির সঙ্গে প্রকৃতির মিলন ঘটে এবং দেবী মর্ত্যে আবির্ভূত হয়ে অশুভ শক্তির বিনাশে ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।
সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে চলে মহাস্নান, অঞ্জলি প্রদান এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা নতুন পোশাকে সেজে উৎসবে অংশ নেয়। ভক্তরা দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে জগতের সকল জীবের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন। মূলত সপ্তমীর দিন থেকেই দুর্গাপূজার উৎসব তার পূর্ণতা পায়, যা আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে।
What's Your Reaction?






