কাপ্তাইয়ে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে পূজা মণ্ডপে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সম্প্রীতির বার্তা প্রদান করেছেন ২৯৯ নং আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি লগগেইট শ্রী শ্রী জয় কালী মন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে দেখা করেন এবং তাদের পূজা উদযাপনের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শনকালে অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল বিভেদ ভুলে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হয় এবং তার আগমনে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন।
পরে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ বলেন, "আমরা সবাই এই দেশকে ভালোবাসি এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের পাশে থাকবো। কেউ যদি এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, আমরা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলিম একসাথে বসবাস করি, পাশাপাশি থাকি; এটা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। কোনো অপশক্তি যেন আমাদের এই শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।"
জামায়াত নেতারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘর ও জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন। তারা বলেন, "এই দেশ আমাদের সকলের। দেশকে সুরক্ষিত এবং শান্তিময় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।" জামায়াত বিশ্বাস করে, সব ভেদাভেদ ভুলে সকল ধর্মের অনুসারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব, যেখানে হিন্দু সমাজের ভূমিকা অপরিসীম।
অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদের এই সফর এবং তার বক্তব্য স্থানীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। উপস্থিত জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি ও সমৃদ্ধির সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মজলিস শুরা সদস্য মোহাম্মদ নুরুল করিম, কাপ্তাই উপজেলা আমীর হারুনুর রশীদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, পুরোহিত পিন্টু চক্রবর্তী, লগগেইট শ্রী শ্রী জয় কালী মন্দির কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাধন দাশ, অর্থ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দে, শহিদ শামসুদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
What's Your Reaction?






