ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় তিতাস নদী খনন ও বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলন এবং কাজে বাধা দেওয়ার পাল্টা অভিযোগে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। এই ত্রিমুখী লড়াইয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন কাজের মূল চুক্তিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাইবা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ আলী হোসেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ডাকবাংলো মোড়ে অবস্থিত মেসার্স তাইবা ট্রেডার্সের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আলী হোসেন সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ এক বছর ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে তিনি তিতাস নদী খননের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফুরফুরী ট্রেডার্স কাজটি সরকারিভাবে বরাদ্দ পেলে, তাদের কাছ থেকে মেসার্স তাইবা ট্রেডার্স সাব-কন্ট্রাক্ট গ্রহণ করে। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরেও মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আলী হোসেন বলেন, "চুক্তির টাকা পরিশোধের পরেও আমাকে কাজ করতে না দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুর আলম সিদ্দিকী তার সরঞ্জাম নিয়ে এসে কাজ শুরুর প্রস্তুতি নেন। এতে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।"
এলাকাবাসী শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বৈধ ঠিকাদারকে নিয়ম মেনে কাজ শুরু করার আহ্বান জানালেও অন্য পক্ষ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরবর্তীতে আলহাজ্ব নুর আলম সিদ্দিকী একটি চুক্তিনামা প্রকাশ করেন, যা চলতি বছরের ২৫শে মার্চ সম্পাদিত হয়েছে বলে দেখানো হয়। আলী হোসেনের মতে, "সেই চুক্তি অনুযায়ী ফুরফুরী ট্রেডার্সকে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়, যা কাজের পরিমাণের তুলনায় একটি অবাস্তব অগ্রিম পরিশোধ।" তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের প্রমাণ জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, "এত বড় একটি চুক্তিনামায় কোনো সাক্ষী না থাকাও বিষয়টি হাস্যকর ও অবাস্তব।"
মোঃ আলী হোসেন এই সকল তালবাহানা বন্ধ করে তার প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






