বিএনপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একজোট আ.লীগপন্থী সদস্যরা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অনাস্থা জানিয়েছেন ১১ জন ইউপি সদস্য। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা উপজেলা সদরের হেলাল কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অনাস্থার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম রেজা। তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে কোনো সভা বা রেজোলিউশন ছাড়াই এডিপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইনকে উপেক্ষা করে এককভাবে পরিষদ পরিচালনা করছেন, যা ১১ জন ইউপি সদস্যকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সামিল।
৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, "নির্বাচনে আমার ওয়ার্ড থেকে কম ভোট পাওয়ায় চেয়ারম্যান কোনো উন্নয়নমূলক কাজ দেননি। কাজের জন্য গেলে তিনি বলেন, যেখানে ভোট নেই, সেখানে কাজ করে লাভ কী?"। সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, প্রায় ১৩ মাস ধরে চেয়ারম্যান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কোনো সভা ছাড়াই পরিষদ পরিচালনা করছেন, যা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে।
এই অনাস্থার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মাখন। তিনি বলেন, "যে সদস্যরা অনাস্থা জানিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তারা আমাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ।"
এদিকে, স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন তার এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি জনগণের কাছে একজন পরিশ্রমী নেতা হিসেবে পরিচিত।
অনাস্থা প্রকাশকারী সদস্যদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, যার বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনাটি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যকার বিরোধে রাজনৈতিক ভিন্নমতের বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলেছে।
What's Your Reaction?






