আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানঘর ভাঙচুর ও গাছ কাটার অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি দোকানঘর ভাঙচুর এবং বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মামলার বিবরণ এবং সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, উপজেলার ৭৯নং পাঙ্গাশিয়া মৌজার এসএ ৪৮১, ৪৮৮, ৪৯১ ও ৪৯৩ দাগের জমির মূল মালিক ছিলেন ডেঙ্গর হাওলাদার। তার মৃত্যুর পর দুই পুত্র ইউসুফ হাওলাদার ও ইউনুচ হাওলাদার এবং তিন কন্যাসহ অন্য ওয়ারিশরা এই সম্পত্তির মালিক হন। পরবর্তীতে ইউসুফ হাওলাদারের মৃত্যুর পর তার পুত্র তোফাজ্জল হোসেন এবং শাহ ইমরান জুয়েলসহ অন্য ওয়ারিশরা জমির ভোগদখল করে আসছিলেন। বিআরএস জরিপেও এই জমি তাদের নামেই রেকর্ডভুক্ত হয়।
বিরোধের সূত্রপাত হয় যখন ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে আব্দুর রব হাওলাদার সম্পত্তিতে নিজের মালিকানা দাবি করেন। তিনি জানান, জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০২১ সালে একটি সাব-কবলা দলিলমূলে তিনি জমিটি কিনেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ওয়ারিশ সূত্রে অগ্রক্রয়ের দাবিদার হিসেবে তোফাজ্জল হোসেন ও শাহ ইমরান জুয়েল গত ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে মাদারীপুরের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে একটি দেওয়ানী মোকাদ্দামা (নং ১১৮/২০২৫) দায়ের করেন।
এই মামলার প্রেক্ষিতে, আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে এক আদেশে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বা তার আকার-আকৃতি পরিবর্তনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, আদালতের এই আদেশকে উপেক্ষা করে বিবাদী আব্দুর রব হাওলাদার লোকজন নিয়ে নালিশি জমিতে থাকা দোকানঘরটি ভাঙচুর করেন এবং বাড়ির গাছপালা কেটে ফেলেন। সরেজমিনে গিয়েও এর সত্যতা মিলেছে। এতে বাদীপক্ষ শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্তই নয়, বরং চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রব হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
What's Your Reaction?






