থানচিতে ঙাফাঁখুমসহ সব পর্যটন স্পট উন্মুক্ত করার দাবি
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বিখ্যাত ঙাফাঁখুম পর্যটন কেন্দ্রসহ সব দর্শনীয় স্থান দ্রুত উন্মুক্ত করা এবং নিবন্ধিত পর্যটক পথ প্রদর্শকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে উপজেলা পর্যটক পথ প্রদর্শক কল্যাণ সমবায় সমিতি। এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় থানচি প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন এবং অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সমিতির নেতারা।
অনুষ্ঠানে সমিতির আহ্বায়ক অন্তর খিয়ান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় পথ প্রদর্শক জওয়াইপ্রু মারমা, ব্যবসায়ী মো. হোসেন, জিপ চালক লোকমান হোসেন, হাম বাহাদুর ত্রিপুরা, রাহ কুমার বিশ্বাস, সাশৈথোয়াই মারমা, আমির আলী, বৌদি আলম ও রেজাউল করিমসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন ধরে ঙাফাঁখুমসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকায় স্থানীয় পর্যটননির্ভর জনগোষ্ঠী চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। তিন্দু পর্যন্ত সীমিত পরিসরে ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও রাত্রীযাপন বা অন্যান্য স্পটে যেতে না পারায় পর্যটকরা নিবন্ধিত গাইড নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় অনেকে নিষিদ্ধ এলাকায় গিয়ে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়েছেন, যা গাইড থাকলে এড়ানো সম্ভব ছিল বলে দাবি করেন বক্তারা।
সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত বৈধ গাইডদের বিভিন্ন সময়ে বিজিবি চেকপোস্টে ‘নিরাপত্তা ও অনুমতি’ অজুহাতে অযৌক্তিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কখনো ব্যবহার অযোগ্য লাইফ জ্যাকেট ও অতিরিক্ত নৌকা ভাড়া নিতে বাধ্য করা হয়, আবার কখনো নিবন্ধিত গাইড কার্ড জব্দ করে হয়রানি করা হয়। এমনকি গাইড ছাড়া পর্যটক পাঠানোর ঘটনাও ঘটে, যা তাদের কাজের পরিবেশকে কঠিন করে তুলেছে।
বক্তারা জানান, পর্যটন বন্ধ থাকায় শুধু পথ প্রদর্শক নয়, নৌকা শ্রমিক, হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিকসহ হাজারো পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তারা বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় হলে পর্যটন কার্যক্রম নিরাপদ ও সুচারুভাবে চালু রাখা সম্ভব।
সমিতির নেতারা আশা প্রকাশ করেন—প্রশাসন তাদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
What's Your Reaction?
অনুপম মারমা, থানচি প্রতিনিধি, বান্দরবানঃ