রাণীনগরে রেলগেটের উঁচু-নিচু রাস্তায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা
নওগাঁর রাণীনগর রেলগেটের উঁচু-নিচু রাস্তায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। রেললাইন সংস্কারের সময় পাঁকা অংশ তুলে ফেলার পর গত এক বছরে ওই স্থানে তৈরি হওয়া উঁচু-নিচু অংশ আজও ঠিক করা হয়নি। বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে রেল কর্তৃপক্ষ সময় পার করলেও প্রতিদিনই যাত্রী, পথচারী ও চালকদের ভোগান্তি বাড়ছে।
স্থানীয় ভ্যানচালক মো. মেহেদী বলেন, “রেল সংস্কারের সময় রাস্তার পাঁকা অংশ তুলে ফেলার পর থেকেই সমস্যার শুরু। প্রতিনিয়ত ছোট যানবাহন উল্টে যাচ্ছে, রোগীরা ঝাকুনি খেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনকি অনেকেই পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হচ্ছেন।” তিনি দ্রুত রাস্তা সমান করার আহ্বান জানান।
সিমবা গ্রামের অটোচার্জার ভ্যান চালক রুহুল আমীন জানান, রেলগেটের দুই পাশের সড়ক ভালো হলেও রেলের মাঝের অংশটি বছরের পর বছর ধরে উঁচু-নিচু অবস্থায় রয়েছে। দিনে ২০টির বেশি ট্রেন চলাচলের ফলে সৃষ্ট যানজটে ভিড়ের মধ্যে যানবাহন ও পথচারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এতে যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে, আর মানুষ হচ্ছে আহত। তার দাবি, “একটু কাজ করলেই হাজারো মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে।”
আবাদপুকুর এলাকার পথচারী আলম হোসেন বলেন, “রাণীনগর রেলগেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জনবহুল স্থান। পূর্বাঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে চলাচল করেন। উঁচু-নিচু রাস্তাটি দ্রুত সমান করা ছাড়া উপায় নেই।”
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “ট্রেন যাওয়ার পর ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। তার ওপর সংস্কারের সময় পাঁকা তোলা অংশে তৈরি হওয়া উঁচু-নিচু জায়গাটি এখন বড় সমস্যা। প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অভিযোগ করছেন। রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানানো হয়েছে।”
সান্তাহার রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) মো. আব্দুর রহমান ফোনে বলেন, রাণীনগর রেলগেটের উঁচু-নিচু অংশ নতুন করে পাঁকাকরণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।
নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল হক রাসেল জানান, “সড়কের দায়িত্ব আমাদের হলেও রেলগেট অংশটি রেলের আওতায়। রেল অনুমতি দিলে আমরা দ্রুতই ওই অংশটি নতুন করে পাঁকাকরণ করতে প্রস্তুত।”
What's Your Reaction?
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর প্রতিনিধি, নওগাঁঃ