পদ্মানদীতে অভিযানে ১ কোটি ৫ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ, ১১ জেলেকে কারাদন্ড

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পদ্মা নদীর অংশে এক বিশাল যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এই অভিযানে প্রায় ১ কোটি ০৫ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ১১ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ, উপজেলা মৎস্য কার্যালয় এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের বাঘড়া চর এবং এর আশপাশের এলাকা থেকে আনুমানিক ১ কোটি ০৫ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে, ১৭০টি মা ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে ১১ জেলেকে আটক করা হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১০ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে মা ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় তিনটি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয় এবং উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জনসমক্ষে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণকে মা ইলিশ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করে সতর্ক ও সচেতন করা হয়।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মহিন উদ্দিন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তানজিমুল হাসান হাওলাদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম। তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
এই অভিযানে সার্বিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় ছিলেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজাউল করিম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আরিফুজ্জামান এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসানসহ জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
What's Your Reaction?






