ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার 'ত্রিমুখী কাণ্ডারি' ইউএনও রাসেল ইকবাল

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর প্রশাসক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান—তিনটি চেয়ার, কিন্তু দায়িত্ব সামলাচ্ছেন একজনই। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এমনই এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল। জনপ্রতিনিধি শূন্যতায় সৃষ্ট প্রশাসনিক জটিলতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তিনি একাই সামলাচ্ছেন পুরো উপজেলার ভার। তার এই বহুমুখী ভূমিকায় একদিকে যেমন গতি পেয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম, তেমনি সাধারণ মানুষও দ্রুত সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
রাসেল ইকবাল ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে সময়ের প্রয়োজনে তাকে নিতে হয়েছে আরও দুটি গুরুদায়িত্ব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভূমি ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। আবার, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় আলফাডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে কাঁধে তুলে নিয়েছেন পৌরবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার ভার। একইসাথে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য থাকায় সেই দায়িত্বও পালন করছেন তিনি, নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে।
এই ত্রিমুখী দায়িত্ব পালন কতটা চ্যালেঞ্জিং? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও রাসেল ইকবাল বলেন, "জনসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমি আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় কিছু কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা কঠিন হয়, তবে আমি আশা করি সকলের সহযোগিতায় আলফাডাঙ্গাকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। আমি সবসময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।"
রাসেল ইকবালের এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন তাকে স্থানীয়দের কাছে একজন দক্ষ ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। জনপ্রতিনিধির অভাব যেন উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করতে তার এই বহুমুখী ভূমিকা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আস্থা তৈরি করেছে।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, তার নেতৃত্বে আলফাডাঙ্গার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে এবং সকল নাগরিক সমস্যার দ্রুত সমাধান মিলবে।
What's Your Reaction?






