আর কোনো ফ্যাসিস্টের জন্ম হতে দেব না - ফরিদপুরে গণঅধিকার পরিষদের হুংকার

"গত পনেরো বছর ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ফরিদপুরকে জিম্মি করে রেখেছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেও এই অঞ্চলের কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। ভিন্নমতের মানুষকে দমন করে যিনি 'মাফিয়া রানী' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট যেন জন্ম নিতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।"
তীব্র ক্ষোভ ও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে এভাবেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল গণঅধিকার পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির নেতারা বর্তমান ও সাবেক সরকারের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে আগামী দিনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার ডাক দিয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান। তার উপস্থিতিতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছি।" তারা অভিযোগ করেন, সাবেক সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে ফরিদপুরের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
তবে শুধু অতীত নিয়েই নয়, বর্তমান সরকারের এক বছরের কর্মকাণ্ডেও হতাশা প্রকাশ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, "বিগত এক বছরে দেশে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি আমাদের চোখে পড়েনি। আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম, তার কিছুই পূরণ হয়নি। এখনো আমাদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করিনি।"
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া, বোয়ালমারী উপজেলা সভাপতি লাবলু শরীফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জনি শেখসহ বিভিন্ন উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নেতারা আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে এখন থেকেই সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের জনগণের দোরগোড়ায় যাওয়ার নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, "জনগণের সমর্থন ছাড়া নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। তাই এখন থেকেই দলের পক্ষে কাজ করুন, মানুষের কাছে যান, তাদের সমর্থন আদায় করুন।" এই সভা থেকে মূলত আগামী দিনের আন্দোলন এবং নির্বাচনের জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করার বার্তাই দেওয়া হয়।
What's Your Reaction?






