আগৈলঝাড়ায় তহশিলদার-সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে

প্রায় ছয় দশকের ভোগদখল করা লিজের সম্পত্তি টাকার বিনিময়ে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। উপজেলার এক তহশিলদার ও এক সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে যোগসাজশ করে একজনের লিজ নেওয়া জমির অংশবিশেষ অন্যকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফুঁসে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা। এই দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে তারা মানববন্ধন করেছেন এবং न्याय চেয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাকাল গ্রামের ৭৮ শতাংশ সরকারি খাসজমি গত ৫৮ বছর ধরে আইনানুগভাবে লিজ নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন এলিজাবেথ কর্মকার। সম্প্রতি লিজ নবায়নের জন্য আবেদন করার পর থেকেই শুরু হয় টালবাহানা।
ভুক্তভোগী এলিজাবেথ কর্মকারের অভিযোগ, বাকাল ইউনিয়নের তহশিলদার সরদার মুজিবুর রহমান ও সার্ভেয়ার সরোয়ার হোসেন তার সঙ্গে কোনোপ্রকার যোগাযোগ না করেই গোপনে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই জমির একটি নতুন তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন। সেই প্রতিবেদনে, মূল লিজগ্রহীতাকে অন্ধকারে রেখে ৭৮ শতাংশ জমি থেকে ২৮ শতাংশ স্থানীয় কাদের ভাট্টি নামের এক ব্যক্তিকে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন একটি আদেশ দেন, যেখানে এলিজাবেথ কর্মকারকে ৫০ শতাংশ এবং তার প্রতিপক্ষ কাদের ভাট্টিকে ২৮ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ২৮ শতাংশ জমির অবৈধ সনদ বাতিলের দাবিতে গত ১০ আগস্ট ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তহশিলদার সরদার মুজিবুর রহমান আর্থিক লেনদেনের কথা অস্বীকার করে বলেন, "আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি, তাই রিপোর্ট দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কী করেছেন, তা আমরা জানি না।"
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক বলেন, "আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
What's Your Reaction?






