মুন্সীগঞ্জে ভোররাতে বসতভিটায় হামলা: লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা

মুন্সীগঞ্জের পদ্মাসেতু উত্তর থানা এলাকায় ওয়ারিশি স্বত্ব দাবি করে এক পরিবারের বসতভিটায় হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করতে পারেন) ভোর ৫টার দিকে জশলদিয়া এলাকায় এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা জমির চারপাশে থাকা টিনের বেড়া উপড়ে ফেলে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রিয়া বেগম বাদী হয়ে মাসুম ও শাহ আলমকে মূল পরিকল্পনাকারী এবং শরিফ, সম্রাট, মোবারক, নাহিদ ও সজলসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করে পদ্মাসেতু উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, জশলদিয়া মৌজায় রিয়া বেগমের স্বামী শামীমের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৫ শতাংশ জমির ওপর দীর্ঘদিন ধরে লোলুপ দৃষ্টি ছিল অভিযুক্তদের। বৃহস্পতিবার ভোরের আঁধারে অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা জমির সীমানায় থাকা কাঁঠাল, আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় লক্ষাধিক টাকার বনজ ও ফলজ গাছ করাত দিয়ে কেটে ফেলে। শুধু তাই নয়, জমির চারপাশে দেওয়া টিনের বেড়া ভেঙে সেগুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
রিয়া বেগমের চাচাতো ভাই সোহেল এই নারকীয় কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনায় পুরো পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তদের একজন শরিফ বলেন, "ওয়ারিশদের কাছ থেকে বায়না সূত্রে আমরা এই জমির মালিক। তাই আমরা গাছ কেটেছি।" তবে দাবির স্বপক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
খবর পেয়ে পদ্মাসেতু উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, "সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং কয়েকটি গাছ কাটা ও বেড়া ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা নিরীহ পরিবারের ওপর এমন জবরদখলের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






