ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ১৫, ভাঙচুর ১০টি ঘরবাড়ি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং ১০-১২টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চান্দের ও ছলিম বাড়ির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার রাতে ছলিম বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে ও কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে শুরু হয় কথাকাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। রাতে ছলিম গোষ্ঠীর আনোয়ার হোসেনকে একা পেয়ে মারধর করে চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন এবং প্রায় ১০-১২টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
What's Your Reaction?






