প্রথমবারের মতো স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের গবেষণা অনুদান দিচ্ছে কুবি প্রশাসন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি অর্থবছরের মোট বাজেট থেকে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের থিসিসের জন্য প্রথমবারের মত এ অনুদান প্রদান করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গবেষণায় দেওয়া বরাদ্দ থেকে ৩০ লাখ টাকা শিক্ষার্থীদের গবেষণা অনুদানের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরাদ্দকৃত অর্থ স্নাতকোত্তরে থিসিস করা শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হবে। এছাড়াও পিএইচডি করা শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য পৃথক আরেকটি অনুদান প্রদান করা হবে।
গবেষণা ও সম্প্রসারন দপ্তর থেকে জানা যায়, অনুদান প্রদানে আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলামের অধীনে মিক্সড মোডের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি সাধারণ কারিকুলামের অধীনে থিসিস মোডের শিক্ষার্থীদের আবেদনও বিবেচনা করা হবে। তবে যারা ইতোমধ্যে অন্য কোনো ফেলোশিপ বা স্কলারশিপ পাচ্ছেন, তারা এ অনুদানের আওতায় আসবেন না।
এ বিষয়ে গবেষণা দপ্তরের প্রধান অধ্যাপক ড. বেলাল উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি অর্থবছরে বাজেট দিয়েছে। মাস্টার্সে অধ্যায়নরত সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাশকৃত বাজেটের অর্থ শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, এ বছর গবেষণা খাতে যে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে। গবেষণা অনুদান শিক্ষার্থীদের আর্থিক স্বস্তি দেবেই পাশাপাশি তাদের মৌলিক গবেষণার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়াবে। আমরা আশা করি এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন গবেষণা করতে সক্ষম হবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি উৎসাহ প্রদানের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের যাতে মাস্টার্সের থিসিসের সময় এসে টিউশন না করানোর প্রয়োজন হয়। এই ছয় মাসে শিক্ষার্থীদের চলার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন হয়, এই অনুদান তাদের সাহায্য করবে। ফলে এই সময়টাতে শিক্ষার্থীরা সম্পুর্ণ মনোযোগ গবেষণায় দিতে পারবে
What's Your Reaction?






