থানচিতে ৪টি গণশৌচাগার অচল, পর্যটক-সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের থানচি উপজেলা প্রতি বছর হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। ঙাঁফাখুম, রাজাপাথর, রেমাক্রীখুমসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখতে আসেন দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুরা। তবে সৌন্দর্যের পাশাপাশি ভ্রমণপথে পড়তে হচ্ছে বড় ধরনের ভোগান্তিতে—কারণ উপজেলার ৪টি গণশৌচাগারের কোনোটিই সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, কিছু একেবারেই অচল হয়ে আছে এক বছর ধরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ‘উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় থানচি তথ্যসেবা কেন্দ্র, বাসস্টেশন, পদ্দঝিরি দোকানের পেছনে এবং বিজিবি চেকপোস্টের পাশে মোট ৪টি শৌচাগার নির্মাণ হয়। এর মধ্যে দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ, অপর দুটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজস্ব ব্যবহারে থাকায় পর্যটক ও সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারছেন না।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আব্দুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সারাদিন গাড়িতে ভ্রমণ শেষে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিতে এসেছিলাম, কিন্তু শৌচাগারগুলোর তালা ঝুলানো। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়।” তার স্ত্রী শাজেদা বলেন, “পুরুষেরা যেখানে-সেখানে কাজ সারতে পারলেও নারীদের জন্য বিষয়টি ভীষণ বিব্রতকর।”
থানচি গাইড সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, শৌচাগার খোলা রাখার জন্য প্রশাসনের তালিকাভুক্ত এক ব্যক্তি ‘দিলু’কে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।
এলজিইডির লামা উপজেলা প্রকৌশলী (থানচির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আবু হানিফ বলেন, “জুনের শেষ দিকে থানচির দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি আগে কেউ জানায়নি, এখন অবগত হলাম। দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
What's Your Reaction?






