জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিরুদ্ধে জামায়াতের প্রতিক্রিয়া

৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণকে ‘অপূর্ণাঙ্গ’ ও ‘গণমানুষের প্রত্যাশাবহির্ভূত’ অভিহিত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানায় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭-এর আজাদী, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড, আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অবদান উপেক্ষা করা হয়েছে—যা ইতিহাসের প্রতি অবিচার।”
ডা. তাহের অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার; এজন্য গঠিত ৬ কমিশনের কার্যক্রম ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে ১৯ দফা ঐকমত্যে উপনীত হয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হলেও ঘোষণাপত্রে তার উল্লেখ নেই।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার যে ঐতিহ্য, প্রধান উপদেষ্টা তা মানেননি। তবুও জাতীয় স্বার্থে আমরা এ ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছি।”
জামায়াত নেতারা দাবি করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি এখনই দিতে হবে—অধ্যাদেশ, এলএফও বা গণভোটের মাধ্যমে। অন্যথায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে বলে সতর্ক করেন তারা।
পঠিত বক্তব্যের বাইরে ডা. তাহের উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা যে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন, তা আমীরে জামায়াতের আগের প্রস্তাবেরই প্রতিফলন। এছাড়া সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের আহ্বান জানান তিনি।
What's Your Reaction?






