কোম্পানীগঞ্জে একরাতেই দুই বাড়িতে ডাকাতি, আতঙ্কে গ্রামবাসী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একরাতে দুইটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দুটি বাড়িতে সংঘটিত হয় এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে রাত ২টার দিকে রামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদ ড্রাইভারের নতুন বাড়িতে। স্থানীয়রা জানান, মুখোশধারী ৮-৯ জন ডাকাত দল লোহার দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। এসময় তারা নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এর ঘণ্টাখানেক পর রাত ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারি বাড়ির নূর ইসলাম সিদ্দিকের বাড়িতে হানা দেয় একই কায়দায় আরেক দল ডাকাত। তারা দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্বজনদের হাত-মুখ বেঁধে ১০ আনা স্বর্ণ ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে।
দুই ঘটনায়ই ডাকাত দলের সদস্যদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বলে জানা গেছে। তাদের পরনে ছিল প্যান্ট-লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি কিংবা শার্ট এবং তারা স্থানীয় ভাষায় কথা বলছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ডাকাতির পেছনে থাকতে পারে জেলার কুখ্যাত আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্ছি মাসুদ। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের তবারক আলী ভূঁইয়া বাড়ির মো. আবুল কাশেম ওরফে আবুল খায়েরের ছেলে। একাধিক সূত্র জানায়, পিচ্ছি মাসুদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, অস্ত্র, মাদক ও পুলিশের ওপর হামলাসহ অন্তত ২৫টি মামলা রয়েছে। অতীতে কারাগারে থেকেও সে ডাকাতি পরিচালনা করত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে অভিযোগ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে পিচ্ছি মাসুদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, “পাশাপাশি দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ লুট করেছে। আরেক বাড়ি থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
What's Your Reaction?






