নারী সঙ্গী নিয়ে ইয়াবা সেবন: ভাইরাল ভিডিওতে ফেঁসে গেলেন ইউপি সদস্য

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন আগুন লেগেছে একটি ভিডিও ঘিরে। আর সেই আগুনের কেন্দ্রে ফরিদপুরের নগরকান্দার এক জনপ্রতিনিধি, যার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে ঝড়ের বেগে। তিনি ফুলসুতি ইউনিয়নের সদস্য হরিপদ সরকার ওরফে হরি মেম্বার। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওতে এক নারী সঙ্গীকে নিয়ে তাকে ইয়াবা সেবন করতে দেখা গেছে, যা নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে বইছে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, হরি মেম্বার এক নারীর পাশে বসে ইয়াবা সেবনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সেবন করছেন। এই দৃশ্যটি গোপনে ধারণ করা হলেও তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। জনপ্রতিনিধির এমন নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র দেখে হতবাক স্থানীয়রা।
এই ভিডিও ফাঁসের পর হরি মেম্বারের অন্ধকার জগতের নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মদ, গাঁজা ও ইয়াবার এক বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলে তিনি এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ তার এই মাদক সাম্রাজ্যের কারণে অতিষ্ঠ এবং ভীত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে তাকে এলাকার মাদক ব্যবসার "মূল হোতা" হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হরি মেম্বার দাবি করেছেন, ভিডিওটি ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, “আমি আগে মাদক সেবন করতাম, এটা সত্য। কিন্তু প্রায় ১০ বছর আগেই এসব ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে গেছি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি পুরোনো ভিডিও এখন ছড়ানো হচ্ছে।”
ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্য এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন। এরই মধ্যে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযুক্ত হরি মেম্বারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
পুরো এলাকাবাসী এখন এই "ইয়াবাখোর" মেম্বারের পদত্যাগ এবং তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার। তাদের প্রশ্ন, যিনি নিজেই অন্ধকারে নিমজ্জিত, তিনি কীভাবে সমাজকে আলোর পথ দেখাবেন?
What's Your Reaction?






