ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগ নেতা হাক্কানীর ভাই মির্জা আজম গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সাবেক মেয়র ও যুবলীগ নেতা গোলাম হাক্কানীর ছোট ভাই মির্জা আজমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘ডেভিল হান্ট’ নামক অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে কসবা রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, গ্রেফতারের সময় মির্জা আজমের সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগী থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। উক্ত বৈঠকে মির্জা আজম ছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা রামিম পাঠান, খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাইম মেম্বার, হামদু পাঠান এবং মেয়রের ড্রাইভার রুবেল মিয়াসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপুর এলাকায় নিয়মিত বৈঠক করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্তা এবং অর্থের বিনিময়ে নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এলাকায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, সাবেক ছাত্রনেতা রামিম পাঠান এবং আবু সাইম মেম্বারের বিরুদ্ধে গত ৫ই আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একাধিক মামলার আসামি। এর মধ্যে একটি মামলায় আবু সাইম মেম্বারকে ১ নম্বর এবং রামিম পাঠানকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত মির্জা আজমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার পলাতক সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
What's Your Reaction?






