নওগাঁর মান্দায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীর মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্তা দুই সন্তানের জননী পাখি বেগম (২৬) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার হলুদঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা সকালে রাস্তার পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে মান্দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে, নিহতের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত পাখি বেগম উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের লবির উদ্দিনের মেয়ে। জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে তার প্রথম স্বামী মাসুদ রানার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সেখানেই মান্দার পরানপুর মৎস্যজীবীপাড়ার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় ও পরবর্তীকালে বিয়ে হয়। কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সেই বিয়েও বিচ্ছেদ ঘটে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাখি বেগমকে হলুদঘর গ্রামের মোড়ে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। পরদিন সকালেই তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর থেকে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী তাইজুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পলাতক রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।"
What's Your Reaction?






