শ্রীনগরে নাগরনন্দী খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সরকারি খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুর নতুন বাজার এলাকায় নাগরনন্দী খালের জায়গা দখল করে এই নির্মাণ কাজ করছেন বলে উসমান ঢালী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা খালটি দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কামারগাঁও সূর্যখাঁর বাড়ি সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে নাগরনন্দী খালটি কামারগাঁও ও রাঢ়ীখালের উত্তর বালাশুর নতুন বাজার গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আড়িয়াল বিলের অন্য খালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে খালটি এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালের বিভিন্ন অংশ দখল করে বাঁধ নির্মাণ করায় এর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উত্তর বালাশুর নতুন বাজার এলাকায় দেখা যায়, উসমান ঢালী খালের অর্ধেক অংশ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন, যা খালের পানি প্রবাহের পথ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। খালটির বিভিন্ন স্থানে আরও দখলের চিহ্ন দেখা যায় এবং খালের মধ্যেই অসংখ্য শৌচাগারের ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাকার সচেতন বাসিন্দারা জানান, ক্রমাগত দখল এবং আবর্জনা ফেলার কারণে খালটি এখন মৃতপ্রায়। সামান্য বৃষ্টিতেই খালের পানি উপচে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা পুরো এলাকার মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী খালটি দখলমুক্ত করে এর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
খালের জায়গা দখলের বিষয়ে অভিযুক্ত উসমান ঢালীর সাথে কথা হলে তিনি খালের অস্তিত্ব অস্বীকার করে বলেন, "এখানে কোনো সরকারি খাল নেই। আমি আমার নিজের মালিকানাধীন জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করছি।"
তবে, স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান খান জানান, "এই সরকারি খালের জায়গা অনেকেই নিজেদের মতো করে দখল করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি বেশ কয়েকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা আমার কথা শোনেনি এবং দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।"
এই বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মহিন উদ্দিন বলেন, "বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
What's Your Reaction?






