নোয়াখালীতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রিপন মজুমদার, জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালীঃ
Nov 25, 2025 - 19:59
 0  6
নোয়াখালীতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে জেলা শহর মাইজদীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল আলম নাঈমের মা নাজমা আক্তার।

নাজমুল আলম নাঈম (২২) চাটখিল উপজেলার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে নাজমা আক্তার অভিযোগ করেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তার ছেলে নাঈম চাটখিল মেডিনোভা জেনারেল হাসপাতালে চাকরি করে সংসার চালিয়ে আসছিল। সেখানে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আসমা আক্তার (২৭) নাঈমের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাধে প্রেমের প্রস্তাব দেন। নাঈম প্রস্তাবে সাড়া না দিলে আসমা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে নানা ষড়যন্ত্রে জড়াতে শুরু করেন।

তিনি আরও জানান, গত ২৫ আগস্ট আসমা আক্তার তার সংসার টিকিয়ে রাখতে নিজের কিশোরী ছোট বোনের (১৩) পক্ষে উকিল সাজিয়ে একটি ভুয়া নিকাহনামা তৈরি করেন। পরে কাজী অফিসে অনুসন্ধান করে ওই নিকাহনামার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৭ এ সিআর মামলা নং–৩৮২/২০২৫ মূলে নাঈমের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার পর নাঈম আদালতে হাজির হয়ে ভুয়া নিকাহনামা ও প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলে আদালত তাকে জামিন দেন এবং কাজী মো. আব্দুল কুদ্দুছকে নিকাহ রেজিস্টারসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে কিশোরীর নিকাহনামা ভুয়া প্রমাণিত হয়।

নাজমা আক্তার আরও অভিযোগ করেন, গত ১৭ অক্টোবর দুই বোন তাদের বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে কিশোরী নিজ হাতে নিজেকে আঘাত করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ঘটনার এক মাস পর ১৮ নভেম্বর নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন আসমা আক্তার। এ মামলায় হাসপাতালের ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম বাবুকে ১নং এবং নাঈমকে ৩নং আসামি করা হয়। ফলে তার ছেলে মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানিতে ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে নাজমা আক্তারের মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই। পুলিশি হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow