ভোটের লড়াই হবে জনগণের লড়াই, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশে ফিরবে গণতন্ত্র - খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক বিশাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আলফাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন,প্রধান বক্তা ছিলেন ফরিদপুর–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রশীদ বাচ্চু, আজম খান, তানভীর আহমেদ রুবেল,জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. মুরাদ হোসেন,উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আহমদ শিকদার,এবং ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ছাত্রনেতা হাসিবুল হাসান হাসিব প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস।সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক সদস্য সচিব নূরুজ্জামান খসরু।
বক্তব্যে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন,আমি আলফাডাঙ্গায় মাইকিং করেছি, কেউ চাঁদাবাজি করলে তার দলে কোনো ঠাঁই থাকবে না। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। দলকে পরিষ্কার রাখতে হলে সততা ও আত্মত্যাগই হবে মূল হাতিয়ার।তিনি আরও বলেন,আজকের এই লড়াই ক্ষমতার জন্য নয়, এটি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। ভোটের লড়াই হবে জনগণের লড়াই, আর এই লড়াইয়ে জয় আমাদের হবেই।
তারেক রহমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন,তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বেই বিএনপি আবার জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। তিনি তৃণমূলের কর্মীদের শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে দিনরাত কাজ করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই দেশে ফিরে আসবে জনগণের সরকার।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম আরও বলেন,তৃণমূলকে শক্তিশালী না করলে কোনো আন্দোলন সফল হয় না। প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌরসভা পর্যায়ে শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে। যারা নিরপেক্ষ বা বিভ্রান্ত, তাদেরও ধানের শীষের পতাকাতলে আনতে হবে। বিএনপি আজ ঐক্যের প্রতীক- এই ঐক্যই আগামী নির্বাচনে বিজয়ের চাবিকাঠি।
প্রধান অতিথি এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, বিএনপি কখনো ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করে না। এই দল জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়েই। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনই এখন সময়ের দাবি। আলফাডাঙ্গার কর্মীরা সবসময় আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকেছে, এবারও থাকবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন,বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়া,উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির,রেজাউল করিম রেজা, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বাশারুল বারী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহিন মোল্লা, এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কদর প্রমুখ।
সভায় বক্তারা দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, আন্দোলনের কৌশল ও নির্বাচনী করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা বলেন,জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
সভা শেষে নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ঈদগাহ মাঠে ছড়িয়ে পড়ে ঐক্যের জোয়ার ও পরিবর্তনের সুর।
What's Your Reaction?






