বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত -০৬

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হন। হামলার শিকার হন সম্মেলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়া আব্দুল্লাহ সোহেল। এ ঘটনায় সম্মেলনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বালিপাড়া বাজারসংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বালিপাড়া বাজারে পৌঁছালে সমন্বয়ক শাহরিয়া আব্দুল্লাহ সোহেলের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সদস্য সচিব আব্দুল জলিল শেখের অনুসারীরা এ হামলা চালান। হামলার সময় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবসহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
পরবর্তীতে বিএনপি নেতা আবুল কালাম শিকদারের সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে এলে তাদের উপরও দেশীয় অস্ত্র, দা, জিআই পাইপ ও লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন (৩৫), সদস্য রিয়াজুল ইসলাম (৫০) ও ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি এনায়েত হাওলাদার।
ঘটনার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে সম্মেলনের কার্যক্রম স্থগিত করে উভয় পক্ষকে নিয়ে ওই দিন বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়। গুরুতর আহত জাকির হোসেন ও রিয়াজুল ইসলামকে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নির্বাচনী সমন্বয়ক শাহরিয়া আব্দুল্লাহ সোহেল বলেন, “বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা আমার সঙ্গে থাকা ৭টি ওয়ার্ডের ভোটার তালিকা ও দলীয় ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।"
অন্যদিকে, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাবুল দাবি করেন, “সমন্বয়ক সোহেল ওয়ার্ড কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোকদের অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরাজিত প্রার্থীরা হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।”
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু বলেন, “সম্মেলনের দিন ওয়ার্ড কমিটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এদিকে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, “বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
What's Your Reaction?






