ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভিজিএফ-এর পচা ও নিম্নমানের আতপ চাল বিতরণে হতাশা

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভিজিএফ-এর আওতায় চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে বিতরণকৃত চালের মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
সোমবার (২৬ মে) সকালে উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর, পুরাপাড়া ও লস্করদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি করে আতপ চাল দেওয়া হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এসব ইউনিয়নে বিতরণকৃত চালের অধিকাংশ বস্তা থেকে পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে, চালে দেখা যাচ্ছে পোকা ও ফাঙ্গাসের উপস্থিতি। এমনকি চালের বস্তাগুলোর অনেকটিই পচে গিয়ে ছিঁড়ে পড়ছে।
চাল গ্রহণকারী দরিদ্র জনগণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, “এই চাল খাওয়ার অনুপযোগী। এত পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল কখনো পাইনি। এটি আমাদের সাথে তামাশা করা হয়েছে।”
উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মোট ৬০.৫৭০ মেট্রিক টন আতপ চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান মোল্লা বলেন, “আমরা গত ১৫ ও ১৭ মে জেলা গুদাম থেকে চাল রিসিভ করেছি। চালগুলো আমাদের উপজেলায় পাঠানো হয়েছে জেলা গুদাম থেকে। শুধু নগরকান্দা নয়, জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও এই নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হয়েছে।”
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবজাল হোসেন বলেন, “আমি চালের মান এখনও পরিদর্শন করিনি। যদি চাল নিম্নমানের হয়, তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গুদামে ফেরত পাঠিয়ে ভালো মানের চাল নিতে পারবেন।”
চাল বিতরণ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার যা দেয়, সেটিও যদি নষ্ট হয়, তবে তারা কোথায় যাবে?”
ফরিদপুর জেলা গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস. এম. ও. বিকাশ সাহার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
What's Your Reaction?






