পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর অভিযোগ

নোয়াখালীর সদর উপজেলার একটি গ্রামে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামী তার স্ত্রীর বিবস্ত্র ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূ লজ্জা ও অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
অভিযুক্ত হাসান মাসুদ (২৭), বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে এবং বর্তমানে লক্ষীপুর পুলিশ লাইনে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। ২০২২ সালে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার স্বামী মাসুদ তাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গেলে, সেখানে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা মারমুখী আচরণ করতে থাকে। ফলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাবার বাড়িতে থাকতে বাধ্য হন। মাসুদ একাধিক ধাপে স্ত্রী থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে নেন এবং পরে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।
এছাড়া, মাসুদ স্ত্রীকে ইমু বা ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিও কল করার জন্য বাধ্য করেন এবং তার স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর, গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর, মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। মামলা তুলে না নেওয়ায়, মাসুদ এবং তার বোন নাজমা বেগমসহ অন্যরা স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ফেসবুক এবং ফেক টিকটক আইডি থেকে ছড়িয়ে দেন।
এ ঘটনার পর, গৃহবধূ পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়ে নানা দপ্তরে ধরনা দেন এবং সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। এরপর নোয়াখালী সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দেওয়া হলেও, পুলিশ সদস্যের বোন মিথ্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবারসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল হাসান মাহমুদ বলেন, "এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।"
লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকতার হোসেন বলেন, "এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।"
What's Your Reaction?






