নোবিপ্রবি কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ: জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগ

জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগে কর্মরত সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে নিজ কর্মস্থল থেকে তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সুধারাম মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আবদুল্লাহ আল মামুন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক মেম্বারের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, জুলাই আন্দোলনের সময় আবদুল্লাহ আল মামুন দেশীয় অস্ত্র হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। বুধবার দুপুরে সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর তাকে প্রক্টরিয়াল টিম আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত না করে প্রাথমিকভাবে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা আবদুল্লাহ আল মামুনকে থানায় নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। প্রশাসন স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






