১০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন পিটুনি খাননি রশিদ

যে স্পিন জাদুতে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করছিলেন, সেই রশিদ খানই এবার গড়লেন লজ্জার এক রেকর্ড। ইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট 'দ্য হানড্রেডে' প্রথম দুই ম্যাচে বল হাতে যিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য, তৃতীয় ম্যাচেই তাকে নামতে হলো পাতালে। বার্মিংহাম ফোনিক্সের বিপক্ষে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্পিনারকে রীতিমতো তুলোধুনো করে ছেড়েছেন ব্যাটাররা।
(১২ আগস্ট) মঙ্গলবারের ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকা তো বটেই, রশিদ তার ২০ বলের কোটায় হজম করেছেন ৫৯ রান! এর মধ্যে ছিল ১০টি বাউন্ডারি—৪টি চার ও ৬টি ছক্কা। এটি শুধু দ্য হানড্রেডের ইতিহাসেই সবচেয়ে খরুচে বোলিং স্পেল নয়, রশিদের ১০ বছরের বর্ণাঢ্য টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেও এমন দুঃস্বপ্নের দিন আর কখনো আসেনি।
প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেওয়া রশিদ খানের এই অবিশ্বাস্য পতনের দিন তার দল ওভাল ইনভিন্সিবলও হেরেছে। প্রথমে ব্যাট করে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ গড়েও শেষ রক্ষা হয়নি। লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৯ বলে ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে বার্মিংহাম ফোনিক্স ২ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয়।
লিভিংস্টোনের রুদ্রমূর্তির সামনে রীতিমতো অসহায় দেখিয়েছে রশিদকে। ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রশিদের এক ওভারেই (৫ বল) ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে ২৬ রানের টর্নেডো চালান এই ইংলিশ তারকা। একের পর এক স্লগ সুইপে বল যখন সীমানা ছাড়া হচ্ছিল, তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন আফগান এই লেগ স্পিনার।
শুধু তাই নয়, এই ম্যাচেই রশিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের মাইলফলকও পার করেছেন লিভিংস্টোন, যা এর আগে কোনো ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেননি।
এর আগে দ্য হানড্রেডে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডটি ছিল ডেভিড ভিসার (৫৩ রান)। সেই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড ভেঙে এখন শীর্ষে উঠে এলেন রশিদ খান। এক কথায়, নায়কের খোলস ছেড়ে খলনায়ক হওয়ার এক রাত দেখলেন ক্রিকেট বিশ্বের এই মহাতারকা।
What's Your Reaction?






