শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি ডাবল-ডেকার বাস চালুর উদ্যোগ কুবি প্রশাসনের

শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংকট নিরসনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুটি ডাবল-ডেকার বাস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য তা চালু করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবহন পুলের প্রধান ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও পরিবহন কমিটির সঙ্গে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব লাল বাসের ফিটনেস নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী বাস চলাচল করবে। বাসসমূহ দ্রুত মেরামত করা হবে এবং লাইট সংযোজন করা হবে, যাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের ওঠানামার সুবিধার্থে দুটি বাসস্টপ স্থাপনের জন্য সিটি করপোরেশনকে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে পরিবহন পুলের প্রধান ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন সংকটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিআরটিসি বাসের সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। ফলে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আবেদনকারী শিক্ষার্থী, পরিবহন কমিটি ও প্রশাসনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপাচার্য বিআরটিসি থেকে দুটি ডাবল-ডেকার বাসের ব্যবস্থা করার কথা বলেন। আমরা বিআরটিসিকে চিঠি দিয়েছি। তবে বাস পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কেননা কুমিল্লায় ডাবল-ডেকার বাস চলাচল করতে পারবে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এক মাসের মধ্যে আমরা বাস পাবো। তবে পূর্বে যে বাসগুলো আছে তার সংখ্যা কমবে না।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরিবহন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বিআরটিসি বাস নিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। আমরা কুমিল্লা বিআরটিসির প্রধানের সঙ্গে একটি মিটিং করেছি। আমরা যে দাবি-দাওয়া জানিয়েছি, তারা মোটামুটি সবগুলো মেনে নিয়েছেন। পাশাপাশি আমরা তাদেরকে বলেছি, যেসব রাস্তায় শিক্ষার্থীদের ভিড় বেশি হয় সেখানে দুটি দ্বিতল বাসের ব্যবস্থা করতে। প্রতিটি বাসে প্রায় ১৩০ জন শিক্ষার্থী অনায়াসে চলাচল করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে। সবকিছু প্রসেসিং করতে তারা আমাদের কাছ থেকে এক মাস সময় চেয়েছেন।”
What's Your Reaction?






