আ.লীগ নেতা ছোট ভাই থানা থেকে পালানোর পর নাটকীয় কায়দায় ধরা হলো বড় ভাইকে

আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে থানায় নেওয়ার পর তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরে তড়িঘড়ি করে নাটকীয় কায়দায় পুলিশ তার বড় ভাইকে থানায় নিয়ে আসে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায়।
পালিয়ে যাওয়া ওই আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসির উদ্দিন (৪৮), আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল মহল্লার বাসিন্দা। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ নাসির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর, তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে থানার পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে পুলিশ মেসের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।
ঘটনার জানাজানি হলে পুলিশ দ্রুত তার বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫) থানায় নিয়ে আসে। নবাব আলী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তিনি বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে পরিচিত।
নবাব আলীকে থানায় নেওয়ার পর পুলিশ তাদের পরিবারকে জানায়, নাসির উদ্দিনকে থানায় হাজির করলে নবাব আলীকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আলফাডাঙ্গা থানায় একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি হারুন-অর রশীদ।
তবে পরে সাংবাদিকদের কাছে ওসি দাবি করেন, “নাসির উদ্দিন পালিয়ে যাননি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল এবং কোনো মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
নাসিরের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান জুয়েল জানান, তিনি আলফাডাঙ্গায় ছিলেন না, তবে শুনেছেন মেজ ভাই (নাসির) পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাইকে থানায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলেছে, নাসিরকে হাজির করলে বড় ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
ঘটনার পর থানায় ও এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা চলেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বৈত বক্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
What's Your Reaction?






