আলফাডাঙ্গার ওসির তাৎক্ষণিক বদলি, নাসিরউদ্দিনের গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওসি হারুন অর রশিদ জানান, তাকে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ রাতেই তিনি আলফাডাঙ্গা থানা ত্যাগ করবেন। বদলির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসামি ধরা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্যই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসিরউদ্দিনকে (৫২) আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তখন ওসি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাসিরউদ্দিনকে। তবে দুপুর দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে নাসিরউদ্দিন থানার পিছনের দিক দিয়ে পালিয়ে যান বলে খবর পাওয়া যায়।
ওসি হারুন অর রশিদ তখন বলেন, “নাসিরউদ্দিনের নামে থানায় কোনও মামলা নেই। তাকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
তবে নাসিরউদ্দিনের পরিবার দাবি করেছে, পুলিশ তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে নাসিরউদ্দিনকে থানায় সোপর্দ করার জন্য। এসময় নাসিরউদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫) থানায় ডেকে আনা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নাসিরউদ্দিন থানায় আত্মসমর্পণ করেন বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু ওসি হারুন অর রশিদ দাবি করেন, “নাসিরউদ্দিন আত্মসমর্পণ করেননি। তাকে গোপালগঞ্জ থেকে ধরে আনা হয়েছে।”
পরে নাসিরউদ্দিন ও তার ভাই নবাব আলীকে গত ১৫ জানুয়ারি দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
What's Your Reaction?






