স্ত্রীর কিডনিতে বাঁচলেন, সুস্থ হয়েই জড়িয়ে পড়লেন পরকীয়ায়

What's Your Reaction?







সরাসরি আপনার ইনবক্সে সর্বশেষ খবর, আপডেট এবং বিশেষ অফার পেতে আমাদের গ্রাহক তালিকায় যোগ দিন
ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে জীবন ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুস্থ হতেই সেই ভালোবাসাকেই ফিরিয়ে দিলেন নির্মম বিশ্বাসঘাতকতায়। সাভারের কলমা এলাকায় স্ত্রী উম্মে সাহেদীনা টুনির কিডনি নিয়ে বেঁচে ওঠা স্বামী মো. তারেক এখন পরিচিত এক ‘প্রতারক’ হিসেবে — যিনি এখন স্ত্রীকে নির্যাতন করে ঘরছাড়া করেছেন এবং জড়িয়ে পড়েছেন পরকীয়ায়।
২০১৯ সালে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে নিজের কিডনি দান করেন ৩৫ বছর বয়সী টুনি। স্বামী তারেকের চিকিৎসা ও ট্রান্সপ্লান্টে তিনি ব্যয় করেন নিজের জমানো অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, এমনকি মায়ের পেনশনের টাকাও। কিন্তু নতুন জীবন ফিরে পেয়ে তারেক বেছে নেন অন্য পথ। নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনলাইন জুয়া ও এক ডিভোর্সি নারীর সঙ্গে পরকীয়ায়।
পরিণতি হয় ভয়াবহ। স্বামী তারেকের সহিংসতা বাড়তে থাকে টুনির প্রতি। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং বসবাস শুরু করেন প্রেমিকার সঙ্গে। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি টুনি সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারেক মুচলেকা দিয়ে সেটি প্রত্যাহার করিয়ে নিলেও সহিংসতা বন্ধ হয়নি। পরে ২২ এপ্রিল নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন টুনি। এর প্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল তারেক গ্রেপ্তার হলেও ৪ জুন জামিনে মুক্তি পান।
এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন তারেক। বন্ধ করে দিয়েছেন নিজের মোবাইল নম্বরও। স্ত্রীর ওপর তালাকের চাপ সৃষ্টি করছেন এবং যৌথ বাড়ি লিখে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ টুনির।
টুনি বলেন, “আমি সাত দিন আইসিইউতে ছিলাম, তখনও অপমান সহ্য করেছি। কিডনি দান করার পরও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন সে তালাক ও সম্পত্তি দাবি করছে। আমি চাই এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”
টুনির মা বলেন, “তার চিকিৎসায় আমার পেনশনের টাকাও খরচ করেছি। আর আজ সে আমার মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
টুনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেহার ফারুক জানান, “তারেক শুধু নারী নির্যাতনই করেননি, তিনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনেরও লঙ্ঘন করেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে স্ত্রীর কিডনি নিয়ে এখন তাকেই নির্যাতন করছেন। আইন অনুযায়ী এ অপরাধ গুরুতর।”
ঘটনাটি সাভার কলমা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, টুনির আত্মত্যাগ এবং তারেকের প্রতারণা — এই দুই চিত্র একসঙ্গে বিশ্বাস করা কঠিন। স্থানীয়রা তারেকের দ্রুত গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
Jun 8, 2025 0 148
Jul 1, 2025 0 140
Jun 5, 2025 0 103
Jun 29, 2025 0 67
Jun 13, 2025 0 58
Jul 3, 2025 0 3
Jul 3, 2025 0 52
Jul 3, 2025 0 1
Jul 3, 2025 0 4
Jul 3, 2025 0 3
এই সাইট কুকিজ ব্যবহার করে. সাইটটি ব্রাউজ করার মাধ্যমে আপনি আমাদের কুকিজ ব্যবহারে সম্মত হচ্ছেন।