এক খুনিকে বিদায় করে আরেক খুনিকে বসানো যাবে না

"৫৩ বছর পর ইসলামী দলগুলোর সামনে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ এসেছে, এই সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। আমরা এক খুনিকে বিদায় করে আরেক খুনিকে ক্ষমতায় বসাতে পারি না।"— এমন কঠোর হুঁশিয়ারি এবং ঐক্যের ডাক দিয়েই বুধবার (১৩ আগস্ট) প্রকম্পিত হলো ফরিদপুর শহরের পৌর কমিউনিটি হল। জাতীয় ওলামা মাশায়েख আইম্মা পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় ও সেমিনারে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এক মঞ্চে জড়ো হন বিভিন্ন ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা।
সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা সৈয়দ সামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তার উপস্থিতিতে সমাবেশটি এক ভিন্ন মাত্রা পায়।
সমাবেশে বক্তারা এক সুরে বলেন, "আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৫ বছর দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই এবার সকল ইসলামী দলকে এক বাক্সে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।"
তারা তীব্র সমালোচনা করে বলেন, "গত ৫ আগস্টের পর থেকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী চাঁদাবাজি, দখল ও টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। আবার আরেকটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। যদি ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে নব্য ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা দখল করে পূর্বের স্বৈরাচারদের পদাঙ্কই অনুসরণ করবে।"
সেমিনারে প্রধান বক্তা, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করিম আবরার বলেন, "এই ঐক্যই আমাদের শক্তি। এই শক্তি দিয়েই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।"
মতবিনিময় সভায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বদরুদ্দীন এবং গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেনসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীরা।
সভা থেকে বক্তারা বিচার বিভাগের সংস্কার এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
What's Your Reaction?






