আক্কেলপুরে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের দশ বিঘা পুকুর ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসীর একাংশ। রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান। তিনি অভিযোগ করেন, কৃষকদল নেতা ও দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আজাদ গোপনে আবাসনের দশ বিঘা পুকুর লীজ নেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি শাকিলকে সঙ্গে নেন। ইজারার চুক্তি অনুযায়ী পুকুরপাড় সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, তা জমা না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাতের চক্রান্ত করছেন আবুল কালাম।
তিনি আরও বলেন, এই দুর্নীতি ঢাকতে আবুল কালাম আজাদ ও তার অনুসারীরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান ছোয়াত এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মুন্নার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনায় আবাসন প্রকল্পের সভাপতি ইদ্রিস আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হান্নান।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুর রহমান ছোয়াত বলেন, “আবাসন কমিটির একটি পক্ষকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। পুকুরপাড় সংস্কারের বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকা আত্মসাত করতে চক্রান্ত করছে কৃষকদল নেতা আজাদ।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহমুদুল হাসান মুন্না বলেন, “আমি মানুষের পক্ষেই কথা বলেছিলাম। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে কৃষকদল নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমি নিয়ম মেনেই পুকুর লীজ নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
এই সংবাদ সম্মেলনে রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?






