উন্নয়ন তহবিলের টাকায় উন্নয়ন কোথায়? ১০ দফা দাবিতে উত্তাল পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজ

প্রতি বছর উন্নয়ন, সংসদ ও বিবিধ তহবিলের নামে ফি আদায় করা হলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন নেই—এমন অভিযোগ তুলে ১০ দফা দাবিতে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে স্মারকলিপিটি অধ্যক্ষের কাছে পৌঁছে দেন পিরোজপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার ও কলেজ ছাত্রদল সভাপতি রাফি শিকদার মুন্না। এসময় জেলা ও কলেজ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে কলেজের জরুরি সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, নিচু স্থান ভরাট, খেলার মাঠ সংস্কার, শহীদ মিনার থেকে ওমান ভবন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও শহীদ মিনার চত্বর পাকা করা, ঐতিহাসিক জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাস সার্ভিস চালু, একটি আধুনিক পাঠাগার স্থাপন, নিরাপত্তার জন্য ছাত্র সংসদ ভবন সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ক্যাম্পাসের ভাঙা গাছের বেদিগুলো দ্রুত সংস্কার করা।
এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, "দীর্ঘদিন ধরে কলেজে কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই, অথচ প্রতিবছর আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তহবিলের নামে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই টাকা কোথায় এবং কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, তা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অজানা। আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।"
জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার বলেন, "পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। বছরের পর বছর ধরে ফি দিয়েও তারা একটি সুন্দর ক্যাম্পাস পাচ্ছে না। আমরা শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি, কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।"
অধ্যক্ষের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা একই দাবিনামা নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এক মাসের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এখন কলেজ ও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
What's Your Reaction?






