আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিনসহ তিনজন গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসিরউদ্দিন (৫২), তার বড় ভাই নবাব আলী (৫৫) ও সাহেব আলী (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে নাসিরউদ্দিন ও নবাব আলীর নাম না থাকলেও পুরনো মামলার সন্দেহজনক অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১২ মে) দুপুরে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার বাকাইল সড়ক থেকে নাসিরউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। কিছুক্ষণ পর দুপুর দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে থানার পেছনের দিক দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮টার দিকে নাসিরউদ্দিন থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
নাসিরউদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, “ভাই পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা তাকে খুঁজে পাইনি। পরে আজ ভোরে তার অবস্থান নিশ্চিত করে থানায় আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত জানাই।”
এ ঘটনায় পুলিশ নাসিরউদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকেও গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। তৈয়বুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেঝ ভাই রাজনীতি করেন। তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিন্তু আমার বড় ভাই নবাব আলী কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। তাকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে?”
আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, “বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে নবাব আলী ও সাহেব আলীকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর থেকে বিএনপির সমর্থক লাভলু সর্দারসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের টার্গেট করে পুলিশি হয়রানি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
What's Your Reaction?






