২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে ২২ বছর পর ফুটবলে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা ১-০ গোলে জয় তুলে নেয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দারুণ ছন্দে খেলতে থাকে। একাদশ মিনিটে বাঁ দিক থেকে রাকিবের বাড়ানো নিখুঁত পাস ভারতের গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠান মোরছালিন। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তাঁর সপ্তম গোল। এই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
প্রথমার্ধে খেলায় উত্তাপ ছড়ালেও ভারত তেমন বেগ দিতে পারেনি বাংলাদেশকে। ২৭তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার তারিক কাজী। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন শাকিল আহাদ তপু। এরপর রক্ষণভাগে কয়েক দফা চাপ নিলেও চমৎকারভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন হামজা চৌধুরীসহ ডিফেন্সের অন্যান্যরা।
৩৪তম মিনিটে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি। বিরতির আগে হামজার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে গেলে লিড বাড়ানো হয়নি বাংলাদেশের।
বিরতির পর ভারত আক্রমণে চাপ বাড়ায়। একাধিকবার বাংলাদেশের বক্সে ঢুকেও গোলের দেখা পায়নি তারা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগ সতর্ক থেকে প্রতিটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন। অন্যদিকে ৭৮তম মিনিটে তপুর শট দুর্বল হওয়ায় লিড দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। খানিক পর হাতের স্পর্শ নিয়ে বাংলাদেশের পেনাল্টি দাবিও নাকচ করে দেন রেফারি।
শেষ দিকেও গোলের জন্য মুখিয়ে থাকে দুই দল। তবে নির্ধারিত সময়ে আর কেউই জালের দেখা পায়নি। এর ফলে একাদশ মিনিটের মোরছালিনের গোলই ম্যাচের একমাত্র ও বিজয়সূচক গোল হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেয়।
দীর্ঘ ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় দর্শকসহ পুরো মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। শীর্ষে সিঙ্গাপুর (১১), এরপর হংকং (৮) এবং তলানিতে ভারত (২ পয়েন্ট)।
বাংলাদেশের এ জয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছেন সমর্থকরা— এশিয়ান কাপের পরবর্তী রাউন্ডে পা রাখতে এখন আরও আত্মবিশ্বাসী লাল–সবুজের দল।
What's Your Reaction?
খেলা ডেস্কঃ